মোবাইল সিম জালিয়াতিঃ আটক ২২
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
মোবাইল সিম জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঢাকার তেজগাঁও এলাকা থেকে ২২ জনকে আটক করেছে। পুলিশ এ সময় অন্যের নাম-পরিচয় ব্যবহার করে নিবন্ধন করা অনেক মোবাইল সিম উদ্ধার করে।
বিটিআরসি আর পুলিশ জানায়, একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়।
বুধবার সকালে ঢাকার তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার জানান, “আমরা তদন্তে দেখতে পেয়েছি, একটি কোম্পানির কর্মী বা বিক্রেতারা যখন সিম নিবন্ধনের জন্য ডিভাইসে আঙ্গুলের ছাপ নেয়, তখন নানা কৌশলে তারা কয়েকবার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে অন্য অনেক নম্বর নিবন্ধন করে নেয়।পরে এসব সিম প্রিঅ্যাকটিভেট বলে বিক্রি করে।”
তেজগাঁয়ের পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, একটি ছিনতাই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তারা একজনকে শনাক্ত করেন যার মোবাইলে সন্দেহভাজন ব্যক্তির নম্বর ব্যবহৃত হয়েছে। সেই ব্যক্তিকে আটক করা হলে তিনি জানান, তিনি একটি মোবাইল ফোন কম্পানি ব্রান্ড প্রোমোটর। তার কাজই হলো, বিভিন্ন ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ওই কোম্পানির সিম নিবন্ধন করে অ্যাকটিভেট করা। পরে সেগুলো ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে বেশি দামে খুচরা বিক্রি করা হয়। ওই কোম্পানিটির তিনজন কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
বিটিআরসির সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খান জানান, জালিয়াতি করে অবৈধ সিম নিবন্ধনের বিষয়ে পুলিশের অভিযানের বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তারা আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম রেজিস্ট্রেশনের সময় কয়েকজনের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ নিয়ে তাদের নামে অন্য মোবাইল নম্বর রেজিস্ট্রেশন করে। একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর এই বিষয়টি টের পেয়ে বিটিআরসি এবং পুলিশকে জানায়। এরপরেই পুলিশ এই অভিযান শুরু করে।
গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বা জাতীয় পরিচয় পত্র ও আঙ্গুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া চলে।
এ সময় পুনর্নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়ায়। অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করে দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া কোন সিম বিক্রি করা যাবে না।
তবে এরপরেও প্রিঅ্যাকটিভেট হিসাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে সিম বিক্রির ঘটনা ঘটছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া